বিশ্বের শীর্ষ ১০টি গোয়েন্দা সংস্থা-top 10 intelligence agencies in the world-Ultimate bangla


YouTube https://youtu.be/gkI6AKx2V3E

হ্যালো বন্ধুরা প্রত্যেকটি দেশ নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজন হয়। এসব Intelligence Agencies  গুলো রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এসব সংগঠনগুলো রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। 



তো চলুন বন্ধুরা আজকের পর্বে আমরা জেনে নেই দুনিয়ার সবচেয়ে দক্ষ, চৌকস এবং ক্ষমতাদর ১০টি Intelligence Agency নিয়ে।


তালিকার দশম স্থানে রয়েছে 



Federal Intelligence Service (BND)


BND, এর সংক্ষিপ্ত রূপ, জার্মান: "ফেডারেল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস"


এটি  জার্মান সরকারের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


 এপ্রিল 1956 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে মেজর জেনারেল রেইনহার্ড গেহেলেন এটি গড়ে  করেছিলেন. BND বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য সংগ্রহ করে এবং মূল্যায়ন করে যেমন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, WMD বিস্তার এবং প্রযুক্তির অবৈধ হস্তান্তর ইত্যাদি।


তালিকার নবম স্থানে রয়েছে 

Ministry of intelligence Service  (MOIS)   iran


islamic republic of iran প্রজাতন্ত্রের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় হল MOIS। এটি ভায়া নামেও পরিচিত এবং পূর্বে ফেব্বা বা বিকল্পভাবে মোইস নামেও পরিচিত ছিলো। এটি 18 আগস্ট, 1983 এ গঠিত হয়েছিল।এর সদর দপ্তর ইরানের তেহরানে।


তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে

Research and Analysis Wing {RAW} INDIA

সদর দপ্তর: নয়াদিল্লি, ভারত

প্রতিষ্ঠিত: 1968

RAW-এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল প্রতিবেশী দেশগুলোর গতিবিধি ও তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করা। এজেন্সিটি 1962 সালের চীন-ভারত যুদ্ধ এবং 1965 সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরে গঠিত হয়েছিল, যা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো কর্তৃক গৃহীত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ফাঁক উন্মোচন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তার সরকার এইভাবে এমন একটি সংস্থার প্রয়োজন অনুভব করেছিল যেটি  শত্রু দেশের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষন করবে এবং ভারতকে শান্তিকালীন সময়ে সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত হওয়ার আগে রক্ষা করবে।


তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে

Ministry of State Security {MSS } CHAINA

সদর দপ্তর: বেইজিং, চীন

প্রতিষ্ঠিত: 1983

MSS হল গণ চীনের নিরাপত্তা সংস্থা যার লক্ষ্য শত্রু এজেন্ট, গুপ্তচর,শত্রু দেশে  ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা করা এবং শত্রু দেশে গোয়েন্দা মিশন পরিচালনার  মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।  যাতে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চীনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।


তালিকার ৬ষ্ট স্থানে রয়েছে 

Directorate General for External Security  (DGES) FRANCE

সদর দপ্তর: Paris, France

প্রতিষ্ঠিত: 1982

ডিজিইএস হল ফ্রান্সের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা যা ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কাজ করছে। সংস্থাটি ডিসিআরআই এর পাশাপাশি কাজ করে এবং এটির  ন্যাটোর সাথে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে। এজেন্সিটি ফ্রান্সের  সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অন্য দেশে গোয়েন্দা মিশন পরিচালনা, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমন ইত্যাদি গুরুত্বপুর্ন কাজ পরিচালনা করে। 


তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে 

Military Intelligence,Section 6( MI6) UK

Headquarters: London, UK

প্রতিষ্ঠিত: 1909

MI6 হল প্রাচীনতম গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে একটি এবং 1569 সালে স্যার ফ্রান্সিস ওয়ালসিংহাম দ্বারা একটি গোপন সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন আকারে বিদ্যমান রয়েছে, যিনি রানী এলিজাবেথ -এর রাজ্য সচিব হয়েছিলেন। এটি 1909 সালে কমান্ডার দ্বারা বর্তমান আকারে গঠিত হয়েছিল।  এই সংস্থাটি প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিশন পালন করেছিলো। 



তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে 

Inter-Services Intelligence

ISI (Pakistan)

প্রতিষ্ঠিত: 1 জানুয়ারী 1948

ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স হল পাকিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা। এটি পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার সাথে প্রাসঙ্গিক বলে বিবেচিত। বিশ্বজুড়ে যেকোনো তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিশ্লেষণের জন্য কাজ করে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের একজন সদস্য আইএসআই তার মহাপরিচালকের কাছে রিপোর্ট করে এবং প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান সরকারকে গোয়েন্দা তথ্য প্রদানের প্রাথমিক দায়ীত্ব পালন করে।

আইএসআই প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি সার্ভিস শাখা (যেমন পাকিস্তান সেনাবাহিনী, পাকিস্তান নৌবাহিনী এবং পাকিস্তান বিমান বাহিনী) থেকে  প্রাপ্ত সামরিক অফিসারদের নিয়ে গঠিত, তাই নাম "ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স।  সংস্থাটি অনেক বেসামরিক লোককেও নিয়োগ করে।


তালিকার ৩য় স্থানে রয়েছে 

 Mossad 

Headquarters: Tel Aviv, Israel 

প্রতিষ্ঠিত: 1949

মোসাদ বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী আন্ডারকভার অপারেশনগুলি পরিচালনা করে।মোসাদের কাজের রিপোর্ট ও গোয়েন্দা তথ্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হয়। ইসরাইলের সীমানার বাইরে গোপনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা, শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলি যাতে বিশেষ ধরনের অস্ত্র তৈরি বা সংগ্রহ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা এবং দেশে-বিদেশে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর উপর হামলার ষড়যন্ত্র আগাম প্রতিরোধ করা, যেসব দেশে ইসরায়েলের অভিবাসন সংস্থা আইনত সক্রিয় হতে পারে না, সেই সব দেশ থেকে ইহুদিদের ইসরায়েলে নিয়ে আসার দায়িত্ব পালন করে ‘মোসাদ'



তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে 

Federal Security Service of the Russian Federation (FSD)Russia

সদর দপ্তর: মস্কো, রাশিয়া

প্রতিষ্ঠিত: 1995

FSD রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রধান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এবং রাশিয়ান রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি এবং সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কাজ করে। এই সংস্থা সোভিয়েত ইউনিয়নের  কেজিবির উত্তরসরি।


তালিকার প্রথম স্থানে আছে 

 Central Intelligence Agency CIA USA

সদর দপ্তর Virginia, United States

প্রতিষ্ঠিত: 1947

বিশ্বে আমেরিকার আধিপত্য বিস্তারের পেছনে সিআইএ একটি বড় কারণ। এই সংস্থাটি একটি পরাশক্তি হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বজায় রাখতে বেশ অবদান রেখেছে। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা, যার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উচ্চপদস্থ নীতিনির্ধারকদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা। সিআইএ'র প্রাথমিক কাজ হচ্ছে বিদেশি সরকার, সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করা এবং তা জাতীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে তা সরবরাহ ও পরামর্শ প্রদান করা।এটি শুধু নিজের কর্মকাণ্ডই নয়, বরং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডও দেখাশোনা করতো। কিন্তু ২০০৪ সালে অনুমোদিত ইন্টেলিজেন্স রিফর্ম অ্যান্ড টেররিজম প্রিভেনশন অ্যাক্ট, ২০০৪ দ্বারা তা পরিবর্তিত হয়।


No comments

Theme images by chuwy. Powered by Blogger.