ক্ষতির মুখে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী || Russian military facing big losses in Ukraine @Ultimate Bangla
YouTube https://youtu.be/lk56RZtCu7U
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে যে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে আজকের এই পর্বে আপনি যদি আল্টিমেট বাংলা চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি বাজিয়ে দেবেন
নজিরবিহীন ক্ষতির মুখে রাশিয়ার বিমান বাহিনীঃ
ইউক্রেনের খেরসনের মূল শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে রাশিয়া।অপাতত মূল শহর ছেড়ে ডিনিপার নদীর অপর প্রান্তে শক্ত অবস্থান থাকবে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।দনেতস্কের পাভলভকা দখল করেছে রুশ সেনারা। খেরসনে বিপর্যয়ের মধ্যেই দনেতস্কে অল্প অল্প করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, খেরসনে মোতায়েন থাকা সেনাদের এখন দনেতস্ক ও ঝাপোরিঝিয়ায় সরিয়ে আনা হবে। দনিপার নদীর পূর্বে থাকা ভূখণ্ড দখলকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে এখন
গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন ঘোষণা দেয় যে, আমেরিকা নতুন করে ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজের আওতায় সারফেস টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিতে যাচ্ছে। মুলত ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার মিসাইল, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান কার্যকরভাবে ধ্বংস করার জন্য এই মিসাইল সিস্টেম দিবে আমেরিকা। চলতি ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনকে রক্ষায় এ পর্যন্ত ১৮.৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সাজ সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে আমেরিকা ।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তারা নাকি রাশিয়ার ২৭৭টি যুদ্ধবিমান, ২৫৮টি হেলিকপ্টার এবং ১,৪৫০টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির কমব্যাট ও রিকন ড্রোন ধ্বংস করেছে। যদিও ইউক্রেনের দেয়া এই তথ্যটি মোটেও সঠিক নয়। মুলত পশ্চিমা অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পেতে ইউক্রেন সরকার কার্যত এই যুদ্ধকে ঘিরে ব্যাপক মাত্রায় প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একাধিক গবেষণামুলক প্রতিষ্ঠান ও থিংক ট্যাংকের দেয়া তথ্যমতে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত রাশিয়ার এ পর্যন্ত মোট ৬৩টি যুদ্ধবিমান, ৫৭টি হেলিকপ্টার এবং ১৪৩টি কমব্যাট ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। তাছাড়া খুব সম্ভবত আরও ৫টি যুদ্ধবিমান ও একটি সামরিক পরিবহন বিমান কমব্যাট মিশন পরিচালনা করা অবস্থায় নিজে নিজেই ক্রাস করেছে।
এদিকে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রায় এক দশকের ভয়াবহ আফগান যুদ্ধে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মোট ২৭৮টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছিল। সেখানে ইউক্রেনে মাত্র ৮ মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ১২০টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস হওয়াকে রাশিয়ার জন্য নজিরবিহীন ক্ষতি হিসেবে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর সবচেয়ে এডভান্স এসইউ-৩৪ বোম্বার বা গ্রাউন্ড এ্যাটাক ফ্যাসালিটির যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে মোট ১৭টি। তার পাশাপাশি এসইউ-৩০এসএম সিরিজের যুদ্ধবিমান ১২টি এবং এসইউ-৩৫ ফ্ল্যাংকার-এফ সিরিজের এডভান্স জেট ফাইটার ধ্বংস হয়েছে মাত্র ১টি। তবে একক এরিয়াল সিস্টেম হিসেবে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর কেমভ কে-৫২ কমব্যাট হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে প্রায় ২৩টি। তাছাড়া এমআই-২৮ এ্যাটাক হেলিকপ্টার ৮টি এবং এমআই-২৪/৩৫ এ্যাটাক হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে মোট ৯টি। যদিও এই তথ্য উপাত্ত যুক্তিসঙ্গত কারণে বাস্তবে অনেকটাই কম বা বেশি হতে পারে।
নজিরবিহীন ক্ষতির মুখে রাশিয়ার বিমান বাহিনীঃ
ইউক্রেনের খেরসনের মূল শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে রাশিয়া।অপাতত মূল শহর ছেড়ে ডিনিপার নদীর অপর প্রান্তে শক্ত অবস্থান থাকবে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।দনেতস্কের পাভলভকা দখল করেছে রুশ সেনারা। খেরসনে বিপর্যয়ের মধ্যেই দনেতস্কে অল্প অল্প করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, খেরসনে মোতায়েন থাকা সেনাদের এখন দনেতস্ক ও ঝাপোরিঝিয়ায় সরিয়ে আনা হবে। দনিপার নদীর পূর্বে থাকা ভূখণ্ড দখলকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে এখন
গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন ঘোষণা দেয় যে, আমেরিকা নতুন করে ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজের আওতায় সারফেস টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিতে যাচ্ছে। মুলত ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার মিসাইল, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান কার্যকরভাবে ধ্বংস করার জন্য এই মিসাইল সিস্টেম দিবে আমেরিকা। চলতি ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনকে রক্ষায় এ পর্যন্ত ১৮.৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সাজ সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে আমেরিকা ।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তারা নাকি রাশিয়ার ২৭৭টি যুদ্ধবিমান, ২৫৮টি হেলিকপ্টার এবং ১,৪৫০টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির কমব্যাট ও রিকন ড্রোন ধ্বংস করেছে। যদিও ইউক্রেনের দেয়া এই তথ্যটি মোটেও সঠিক নয়। মুলত পশ্চিমা অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পেতে ইউক্রেন সরকার কার্যত এই যুদ্ধকে ঘিরে ব্যাপক মাত্রায় প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একাধিক গবেষণামুলক প্রতিষ্ঠান ও থিংক ট্যাংকের দেয়া তথ্যমতে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত রাশিয়ার এ পর্যন্ত মোট ৬৩টি যুদ্ধবিমান, ৫৭টি হেলিকপ্টার এবং ১৪৩টি কমব্যাট ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। তাছাড়া খুব সম্ভবত আরও ৫টি যুদ্ধবিমান ও একটি সামরিক পরিবহন বিমান কমব্যাট মিশন পরিচালনা করা অবস্থায় নিজে নিজেই ক্রাস করেছে।
এদিকে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রায় এক দশকের ভয়াবহ আফগান যুদ্ধে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মোট ২৭৮টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছিল। সেখানে ইউক্রেনে মাত্র ৮ মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ১২০টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস হওয়াকে রাশিয়ার জন্য নজিরবিহীন ক্ষতি হিসেবে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর সবচেয়ে এডভান্স এসইউ-৩৪ বোম্বার বা গ্রাউন্ড এ্যাটাক ফ্যাসালিটির যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে মোট ১৭টি। তার পাশাপাশি এসইউ-৩০এসএম সিরিজের যুদ্ধবিমান ১২টি এবং এসইউ-৩৫ ফ্ল্যাংকার-এফ সিরিজের এডভান্স জেট ফাইটার ধ্বংস হয়েছে মাত্র ১টি। তবে একক এরিয়াল সিস্টেম হিসেবে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর কেমভ কে-৫২ কমব্যাট হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে প্রায় ২৩টি। তাছাড়া এমআই-২৮ এ্যাটাক হেলিকপ্টার ৮টি এবং এমআই-২৪/৩৫ এ্যাটাক হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে মোট ৯টি। যদিও এই তথ্য উপাত্ত যুক্তিসঙ্গত কারণে বাস্তবে অনেকটাই কম বা বেশি হতে পারে।
No comments