Kimberley Diamond Mine || পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা খনি | Largest Diamond Mine History@Ultimate Bangla


YouTube https://youtu.be/p46OU_7e5Gw

মানুষের কাছে পৃথিবীর তাবৎ সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও চাহিদার শীর্ষে রয়েছে হীরা। পৃথিবী নামক ভূখণ্ডে সর্বপ্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লি হীরার খনি আবিষ্কৃত হয়। তাছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরার খনি দক্ষিণ আফ্রিকার এই 'দ্য কিম্বার্লি মাইন'। যেখানে রেকর্ড পরিমাণ হীরা উত্তোলন করা হয়। প্রায় দশটির মতো হীরার খনি রয়েছে আফ্রিকার এই দেশে, কিন্তু আর সব হীরা খনির চেয়ে কিম্বার্লির কদর যেন একটু বেশি-ই। রূপকথার গল্পের মতোই রহস্যে ঘেরা পৃথিবীর প্রথম এবং সবচেয়ে বড় এই হীরার খনি।

তো চলুন বন্ধুরা আজকের পর্বে আমরা জেনে নেই তো চলুন বন্ধুরা আজকের পর্বে আমরা জেনে নেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরার খনি দা কিম্বার্লি হল সর্ম্পকে আপনি যদি আল্টিমেট বাংলা চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি বাজিয়ে দেবেন


দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লি শহরটি নর্দান ক্যাপ রাজ্যের রাজধানী। এই শহরের সব কিছুতেই যেন ডায়মন্ড বা হীরা মিশে আছে। ডায়মন্ড ট্যাক্সি, ডায়মন্ড লজ, ডায়মন্ড প্যাভিলিয়ন মল, এমনকি এখানকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামও ডায়মন্ড ওভাল। যে শহরের মাটির নিচে হীরার ছড়াছড়ি, সে শহরের সবকিছুর সঙ্গে ডায়মন্ড থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরার খনি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্য কিম্বার্লি মাইন। যেখানে রেকর্ড পরিমাণ হীরা উত্তোলন করা হয়।

পৃথিবীতে মানুষের তৈরি যত বিশাল গর্ত আছে তারমধ্যে কিম্বার্লি অন্যতম.কিম্বার্লি খনি 705 মিটার গভীর কিম্বার্লি বিগ হোলের এই শান্ত নীল জলরাশির নিচে এখনো সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে সীমাহীন। কিম্বার্লিত খনিতে হীরা উত্তোলন শুরু হয় ১৮৭১ সালে, যা পরবর্তীতে ১৯১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত চলমান থাকে। ১৮৭০ থেকে ৮০ দশকের সময়, পৃথিবীতে মোট হীরার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ হীরা উত্তোলিত হতো এই খনি থেকে। ৪২ একর জায়গাজুড়ে প্রায় (৭০৫ ফুট) গভীর এই খনি থেকে কী পরিমাণ হীরা উত্তোলন করা হয়েছে জানলে চোখ কপালে উঠবে ৪২ একর জায়গাজুড়ে ৭০৬ ফুট গভীর থেকে ৪২ বছরে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪ হাজার ৫৬৬ ক্যারেট হীরা তোলা হয়েছে এখান থেকে। হীরা তুলতে গিয়ে এই ৪৩ বছরে ৫০ হাজার খনি শ্রমিক মিলে যে গর্তটা খুঁড়েছেন, সেটি এখন পৃথিবীর বৃহত্তম মনুষ্যসৃষ্ট গর্তগুলোর অন্যতম।এমন গল্পই আসলে বলে দেয় মানুষের পক্ষে অসাধ্য সাধন কঠিন হলেও, অসম্ভব না।বলা হয়ে থাকে 'পৃথিবীতে যত ডায়মন্ড পাওয়া গেছে, তার থেকে বেশি ডায়মন্ড এখানে আছে।

তবে এসব হীরার দীপ্তি চোখকে শুধু ধাঁধিয়েই দেয় না, এর পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক বেদনারও গল্প। খনিতে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অগণিত শ্রমিক, স্বজনহারাদের অশ্রুতে ভেসেছে কিম্বার্লি। যখন পিট মাইনিং বিপজ্জনক এবং অলাভজনক হয়ে ওঠে, তখন কিম্বারলাইট পাইপ 1,097 মিটার গভীরতায় কাজ করতে না পারার কারণে খনিটি 2005 সালে বন্ধ করে দেয়া হয় .পরিত্যক্ত হবার পর জায়গাটির নাম দেয়া হয়েছে 'দ্য বিগ হোল কিম্বার্লি'। দক্ষিণ আফ্রিকায় যতো পর্যটকের সমাগম হয় তার একটা বড় অংশ আসে এই বিগ হোলকে কেন্দ্র করে।


'বিগ হোল'খ্যাত এই হীরক খনির গল্প ১০৪ বছরের পুরোনো। কিম্বার্লির এই বিশাল গর্ত আর হীরার কাহিনি আজও মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয় অসাধ্য সাধনের। মাটি থেকে শূন্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া ছোট ব্রিজের একেবারে শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে নিচের বিশাল গর্তের দিকে তাকালে একটা কথাই মনে হবে—মানুষের অসাধ্য আসলে কিছুই নেই।
পাশের জাদুঘরে চোখ ধাঁধানো কিছু মহামূল্যবান হীরা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে বিগ হোল কর্তৃপক্ষ। যেখানে জ্বলজ্বল করছে দুর্লভ কোহিনূর। এছাড়াও, টিফানি, জুবিলি ও কালিনান হীরার দর্শন মুগ্ধ করবে যে কাউকেই .

No comments

Theme images by chuwy. Powered by Blogger.