Dhaka Metro Rail Project || ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প || স্বপ্নের ঢাকা মেট্রোরেল || BD @ultimatebangla
YouTube https://youtu.be/qpeGGUSEYzI
মেট্রোর ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের।উপমহাদেশে কলকাতায় মেট্রোরেল নির্মাণ শুরু হয় ১৯৭২ সালে, আর চালু হয় ১৯৮৪ সালে। কিন্তু ঢাকায় ২০১০ সালেও মেট্রোরেল ছিল স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব। মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর কাছে এখন আর স্বপ্ন নয়। সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া ঢাকা মেট্রোরেলের খুটিনাটি নিয়ে আলোচনা করা হবে আজকের এই পর্বে। আপনি যদি আলটিমেট বাংলা চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি বাজিয়ে দিন।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শহরভিত্তিক রেল ব্যবস্থা হচ্ছে ঢাকা মেট্রো যা আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা সংক্ষেপে এমআরটি নামে পরিচিত। ২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় । মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। ২০১৬ সালে প্রণীত সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে ঢাকায় নির্মিতব্য মেট্রো রেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৬-কে নির্বাচন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি এলিভেটেড স্টেশন ও ৫৩টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। [৩]
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে এমআরটি লাইন-৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয় এবং তিনি মেট্রোরেলের প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রার অংশ ছিলেন। ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হতে পারে।
প্রথমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও সরাসরি মেট্রোরেল চলবে।পথের স্টেশন গুলা সম্পূর্ণ রেডি হইলে সেগুলো এক এক করে খুলবে।আগামী বছর মতিঝিল পর্যন্ত তারপর কমলাপুর পর্যন্ত পুরোদমে চালু হয়ে যাবে এই রুট।
সেইসাথে আগামী বছরই মেট্রো রেল লাইন-১ নামে পরিচিত দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে।রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৯.৮৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মিত হবে উড়ালপথ, যার দৈর্ঘ্য ১১.৩৬ কিলোমিটার। পাতালপথে স্টেশন হবে ১২টি এবং উড়ালপথে থাকবে সাতটি। দুই পথে মোট ১৯টি স্টেশন চূড়ান্ত হয়েছে।
এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।
মেট্রোর সর্বোচ্চ গতি ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা
ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ২০ টাকা, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা, তবে ৩ ফুটের নিচের উচ্চতার শিশুদের জন্য কোনো ভাড়া প্রদান করতে হবে না।
মেট্রোট্রেনের সংখ্যা: ২৪ সেট
প্রতিটি ট্রেনে কোচ সংখ্যা ৬টি
প্রতি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা২,৩০৮ জন
এইভাবে একের পর এক মেট্রো বানিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ টি মেট্রোরেলের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা পুরো রাজধানীকে।
জাপানকে যেহেতু কাজ দেয়া হচ্ছে জাপানকে এদেশেই কোচ, ইঞ্জিন সংযোজন ইত্যাদির জন্য ওয়ার্কশপ কারখানা স্থাপন করার জন্য বলা হতে পারে ।
বাংলাদেশে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষতি করছে ঢাকার যানজট। টাকার অংকে যা প্রায় ৮৭ হাজার কোটি। ঢাকা শহরের ১২৮ কিলোমিটার সড়কের যানজটে মূলত এই ক্ষতি হয় দেশে। এসব ক্ষতির কথা মাথায় রেখে ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ছয়টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে এমআরটি-৬ এর আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার লাইন উন্মুক্ত করা হলো ২৮ ডিসেম্বর। এতে ক্ষতি কমবে ৯ শতাংশ।
উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই মেট্রোরেল লাইনটি এমআরটি-৬ নামে পরিচিত। উভয় দিকের ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী এবং দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। । উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পৌঁছানো যাবে মাত্র ৪০ মিনিটে, যা যানজট কমাবে এবং কর্মঘণ্টা ও সময় বাঁচাবে। তবে আগামী বছর মেট্রোরেল লাইন-৬ পূর্ণমাত্রায় চালু হলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে প্রায় ২০ শতাংশ।
আপনারা নিশ্চয় দেখছেন সড়কপথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথে বসে থাকতে হয়। যেমন উত্তরা থেকে কমলাপুরে কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না কত সময় নিয়ে পৌঁছানো যায়। তবে মেট্রোরেলে বলা যায় ৩৮ থেকে ৪০ মিনিটে পৌঁছানো যাবে।
No comments