Russia Ukraine War Update || Breaking News || শীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি@ultimatebangla
শীতকালে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দুজনই ডিফেন্সিভ পজিশনে রয়েছে। রাশিয়া কিছু দিন পর পর ইউক্রেনে ব্যপক মিসাইল হামলা করছে। দু'পক্ষই ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নিন্ম তাপমাত্রায় শীতকালে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে আজকের এই পর্বে। আপনি যদি আলটিমেট বাংলা চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন তবে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি বাজিয়ে দিন।
কিছুদিন আগে রাশিয়ার এঞ্জেল্স বিমানঘাঁটিতে পুনরায় সফল হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলের তৈরি টু-১৪১ ড্রোন দিয়ে এই হামলা করে ইউক্রেন। রাশিয়ার গণমাধ্যম বাজা ২টি বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিগত ৫ই ডিসেম্বর একই ঘাঁটিতে সহ ৩টি বিমানঘাঁটিতে সফল হামলা করে। রাশিয়ার এস-৩০০ এবং এস-৪০০ হামলা ঠেকানো দূরে থাক ইউক্রেনের ড্রোনগুলো ডিটেক্ট করতেও পারেনি।
রাশিয়ার ১৫০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে ইউক্রেনের এসব বারবার হামলা রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
এদিকে রাশিয়ার এডমিরাল্টি শিপইয়ার্ডের প্রধান ডাইরেক্টর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তার প্রতিষ্ঠানটি ইমপ্রুভ কিলো ক্লাস ডিজেল সাবমেরিন বানাতো যেগুলো ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইল বহন করে। এছাড়াও আন্ডারওয়াটার ড্রোন নির্মাণ করতো।
তার মৃত্যু সম্পর্কে রাশিয়া কিছু জানায়নি তবে বিগত জুন মাসে কৃষ্ণ সাগর থেকে ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইল ইউক্রেনে নিক্ষেপ করে রাশিয়া। এতে ধারণা করা হচ্ছে সম্ভবত ইউক্রেনের গোয়েন্দা বাহিনী হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত।
একটু পেছনে তাকালে দেখা যায় ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার দখলদারিত্বের অন্যতম উস্কানিদাতা আলেক্সান্ডার দাগিনকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো ইউক্রেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেলেও তার কন্যা দারিয়া দাগিনাকে প্রতিশোধমুলক গাড়ি বোমা হামলা করে হত্যা করে ইউক্রেনের গোয়েন্দা বাহিনী। তাই অনুমান করা যায় এটাও তাদের একটা কাজ হতে পারে।
মূলত ইউক্রেন রুশ যুদ্ধে পশ্চিমারাই সাময়িক লাভবান মনে হচ্ছে, সামরিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা ইতোমধ্যে ই অনেকটা সফল!
!
অপর দিকে সম্মিলিত ৩০/৩২ সদস্য বিশিষ্ট ন্যাটো রাষ্ট্রের সরাসরি ভাবে ইউক্রেন কে সর্বাধুনিক অ*স্ত্র, সর্বাত্মক প্রশিক্ষণ রাশিয়ার ইউক্রেনে সামরিক জয়ের সম্ভাবনা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে পুতিন -
ইউক্রেন দখলকৃত অঞ্চল গুলো পুরোপুরি দখল বজায় রাখতে মনোনিবেশ
এবং
ইউক্রেনকে সমর্থন ও মদদ দেওয়া পশ্চিমা জোটের ঐক্য ভাঙার দিকে মনোনিবেশ করছেন।
এভাবে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এমন একটি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন, যা যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও বিস্তৃত হয়ে পড়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউক্রেনে রাশিয়া যেসব যুদ্ধ কৌশল নিয়েছে, তার একটি হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলা।
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ইউক্রেনীয়দের জীবনকে ক্রমবর্ধমানভাবে দুর্বিষহ করে তোলা
এবং একপর্যায়ে তাদের দেশ ছেড়ে ইইউর দেশগুলোতে দলে দলে শরণার্থী হিসেবে চলে যাওয়া নিশ্চিত করতে রাশিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধ্বংস করছে।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনীয়দের ৩০ শতাংশ লোক বেকার হয়ে পড়েছেন এবং জেলেনস্কি বিদেশে থাকা শরণার্থীদের এ শীতে দেশে না ফিরতে অনুরোধ করেছেন।
এ বছর ইউক্রেনের ১ কোটি ৪০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইউরোপে এতসংখ্যক লোক বাস্তুচ্যুত হয়নি।
এ অভিবাসনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পুতিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। অভিবাসীদের ঢল যাতে ইউরোপের দেশগুলোতে আছড়ে পড়ে
এবং
সেই চাপে পড়ে পশ্চিমাদের সংকল্প যাতে দুর্বল হয়ে পড়ে, সে জন্য পুতিন ইউক্রেনে জ্বালানি, খাদ্য ও সার সরবরাহে বাধা দেওয়া অব্যাহত রাখবেন।
দ্য ইকোনমিস্ট-এর সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, পুতিনের জ্বালানিযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মূল্যবৃদ্ধি এ শীতে ইউরোপজুড়ে এক লাখের বেশি অতিরিক্ত মৃত্যুর কারণ হতে পারে, যা সম্ভবত এখন পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ দখলদারিত্ব শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ওয়াশিংটনে পৌঁছে মার্কিন সিনেটে ভাষণ দিয়েছেন। ইউক্রেনের জন্য ১.৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার প্যাকেজের ঘোষণা আসতে পারে আগামীকাল। এই প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নিখুঁত হামলার জন্য মিসাইল পাবে ইউক্রেন।
রাশিয়া ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ইউক্রেনে আমেরিকা প্যাট্রিয়ট পৌঁছালে সেটা রাশিয়া ধ্বংস করে দিবে। একইভাবে ঘোষণা দিয়েছিলো হাইমার্স সরবরাহ করলে সেগুলো ধ্বংস করা হবে। কিন্তু দেখা যায় তিন ডজন হাইমার্স সরবরাহ করে রাশিয়ার দখলদারিত্ব ঠেকিয়ে দিলেও সেগুলো সব ধ্বংস করতে পারেনি রাশিয়া। বরং ইউক্রেনে যুদ্ধ করার পর রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ।
রাশিয়া তার পারমাণবিক ICBM RS-24 ইয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সক্রিয়' করেছে।
যা হিরোশিমায় আঘাত করা মার্কিন পরমাণু বোমার চেয়ে 12 গুণ বেশি শক্তিশালী
মস্কোর পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পর্কে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর প্রতি এটি একটি সতর্কতা বলে মনে হচ্ছে।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি অজ্ঞাত স্থানের ক্ষেপণাস্ত্র সাইলোতে ইয়ারস আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ইনস্টল করার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
No comments